ঠোঁটের যত্ন

ঠোঁট গোলাপি করার উপায় ও ঠোঁটের যত্নে করনীয়।

How To make the lips pink

নিজেকে আকর্ষণীয় রাখতে আমরা বিভিন্নভাবে সাজগোজ করে নিজেকে পরিপাটি রাখি। সাজগোজের জন্য আমরা চোখে, মুখে মেকআপ, ঠোটে লিপস্টিক ব্যবহার করি।

ঠোঁটের সাজের জন্য লিপস্টিকের বিকল্প নেই। তাই লিপস্টিক বাছাই এর ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো মানের লিপস্টিক ঠোঁটে ব্যবহার করা উচিত ফলাফল স্বরূপ ঠোঁটের সঠিক কালার বজায় থাকবে এবং ঠোঁট ভালো থাকবে।

বিপরীতে নিম্নমানের ,রেপ্লিকা প্রডাক্টস ব্যবহারের কারণে ঠোঁট কালচে হয়ে যাবে, পিগমেন্টেশন দেখা দিবে, ঠোঁটের স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে যাবে।

এছাড়াও ঠোঁট কালচে হয়ে যাওয়ার অন্যান্য কারণ আছে যেমন- বয়সের সাথে সাথে অনেকের ঠোঁটের রং জেনেটিক্যালি হালকা কালচে হয়ে যায়, মেয়াদহীন(লিপস্টিক,লিপবাম,লিপটেন্ট ) ব্যবহার,নিম্নমানের লিপ প্রোডাক্ট ব্যবহার, রেপ্লিকা প্রোডাক্ট ব্যবহার ও নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন না নেওয়ার কারণে ঠোঁটের স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে ঠোঁট কালচে হয়ে যায়।

ঠোট হচ্ছে মুখের সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা। অসতর্কতার কারণে হতে পারে ঠোঁটের অনেক বড় ক্ষতি। অনেকেই যত্নের অবহেলায় এ সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলে। তাই কোন ধরনের অবহেলা না করে সমস্যার ধরন বুঝে যত্ন করতে হবে।

তাহলে আজ জেনে নিন কিভাবে ঠোঁটের যত্ন করলে ঠোঁটের রং গোলাপি হবে ।

ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

Lip Care

মশ্চারাইজ করা:

শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় ঠোঁট খুবই পাতলা ও স্পর্শকাতর অংশ। ঠোটের উপরে খুবই পাতলা মেমব্রেনের একটি লেয়ার থাকে, একাধিক লেয়ার না থাকার কারণে অতিরিক্ত গরম ,রুক্ষ ও শুষ্ক আবহাওয়ায় ঠোঁটে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, যেমন – ঠোঁট ফেটে যাওয়া, শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ঠোঁটে চামড়া উঠা ইত্যাদি।

তাই সব রকম আবহাওয়ায় ঠোঁটকে মশ্চারাইজড রাখা জরুরী। এক্ষেত্রে ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন –

এই অথেনটিক প্রোডাক্ট পেতে অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের পেইজে অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন Hretus World এ , ধন্যবাদ।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস-

১.দিনে দুইবার বা প্রয়োজন অনুসারে নিয়মিত ঠোঁটে লিপবাম লাগান।
২.ঠোঁটে ঘন ঘন জিভ লাগাবেন না, কারণ ঘন ঘন জিভ লাগানোর ফলে ঠোঁটের ph লেভেল ঠিক থাকবে না এবং ঠোট ফাটতে শুরু করবে।
৩.ঠোটে লিপস্টিক অ্যাপ্লাইয়ের ১৫ মিনিট পূর্বে ঠোঁটে লিপবাম লাগিয়ে নিবেন এতে ঠোঁটের ময়শ্চারাইজড লেভেল ঠিক থাকবে এবং লিপস্টিকও দীর্ঘস্থায়ী হবে ।

ঠোঁট ক্লিন রাখা:

কাজের তাগিদে বাইরে যেতে, আত্মীয়র অনুষ্ঠানে এটেন্ড করতে অথবা নিজের অনুষ্ঠানে নিজেকে সাজিয়ে ও পরিপাটি করে তুলতে আমরা মেকওভার করে থাকি। সারাদিনের ক্লান্তির পর ঘুমানোর পূর্বে অবশ্যই ত্বক ক্লিন করে ঘুমাই, ত্বক ক্লিন করার পাশাপাশি ঠোঁটকেও ক্লিন করতে হয়।

এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে ক্লিনজিং দিয়ে লিপস্টিক তুলে ফেলুন । এক্ষেত্রে আ্যলোভেরা জেল সমৃদ্ধ ক্লিনজিং ঠোটে লিপস্টিক তুলতে ব্যবহার করবেন। যেমন- Simple Refreshing facial wash gel, Boots lemon Bright scrub cleansing gel, Bioderma sebium gel ইত্যাদি ব্যবহার করবেন।

ঠোট এক্সফোলিয়েট করা:

সপ্তাহে দুইবার ঠোট এক্সফোলিয়েট করলে ঠোট মসৃণ ও নরম থাকবে। ঠোটের যত্নের জন্য ঠোঁট এক্সেফোলিয়েট করা খুবই জরুরী। কারণ ঠোট এক্সফোলিয়েট করার ফলে ঠোঁটের ডেড সেলস রিমুভ হয়, ঠোঁটের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি করে, কোলাজেন প্রোডাকশন প্রমোট করে এবং ঠোঁটের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতি করে ঠোঁটকে স্মুথ ও মসৃণ করে। এছাড়াও ঠোট এক্সফোলিয়েট করার ফলে ঠোঁটে যে কোন লিপ প্রোডাক্ট স্মুথলি ঠোঁটে বসে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।

লিপ মাস্ক, লিপ ক্রিম ব্যবহার:

প্রাকৃতিকভাবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে যেমন বার্ধক্যের ছাপ পড়ে ঠিক তেমনি ঠোঁটেও এর প্রভাব রয়েছে। তাই ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটের ও দরকার বাড়তি যত্ন। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন -লিপ স্লিপিং মাস্ক, লিপ ক্রিম ইত্যাদি। লিপ স্লিপিং মাস্কে আছে বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিন যা ঠোঁটের পিগমেন্টেশন রিমুভ করে ঠোঁটকে মশ্চারাইজড রাখে এছাড়াও কিছু কিছু লিপ স্লিপিং মাস্কে এক্সফোলিয়েটর উপাদান থাকে যা লিপকে নরম ও মসৃণ রাখে।

ঠোঁটের যথাযথ যত্ন করলে ঠোটের পিগমেন্টেশন, ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা রিমুভ হবে এবং ঠোঁটের নাব্যতা বজায় রেখে ঠোঁট গোলাপি,স্মুথ ও মসৃণ রাখতে উপরিউক্ত পরামর্শ অনুযায়ী ঠোঁটের যত্ন নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *