জনসন বেবি অয়েল শিশুর নাজুক ত্বককে সুরক্ষিত, নরম এবং ময়েশ্চারাইজড রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমরা জানি,শিশুর ত্বক খুবই সংবেদনশীল ও কোমল প্রকৃতির তাই শিশুর ত্বকের যত্নে উপযুক্ত পণ্য ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জনসন বেবি অয়েল হালকা ও কোমল উপাদানে তৈরি, যা শিশুর সংবেদনশীল ত্বকের জন্য সুরক্ষিত। জনসন বেবি অয়েলে কোন প্রকার ক্ষতিকর উপাদান নেই,যা শিশুর ত্বকের জন্য হার্মফুল। এটি শিশুদের নাজুক ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি।
জনসন বেবি অয়েল এর প্রধান উপাদান হলো মিনারেল অয়েল যা ত্বকের উপর একটি সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। জনসন বেবি ওয়েলের আরো একটি বিশেষায়িত উপাদান হচ্ছে এর ফ্রেগরেন্স।যা আপনার শিশুর ত্বকে একটি সুগন্ধময় অনুভূতি প্রদান করে। তবে এটি শিশুর ত্বকে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না ।
জনসন বেবি অয়েল ব্যবহারে কি কি বেনিফিট পাওয়া যায়?
শিশুর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে- জনসন বেবি অয়েল শিশুর ত্বকে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকে একটি সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে এবং মসৃণ রাখে।
শিশুর ত্বককে নরম ও কোমল করে – শিশুর ত্বক বড়দের তুলনায় খুব দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়।জনসন বেবি অয়েল শিশুর ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
বেবি বডি ম্যাসাজ – আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি ,আমাদের মা- চাচীরা প্রত্যহ সকালে নবজাতক শিশুকে গোসলের আগে হালকা রোদে রেখে নবজাতকের শরীরে তেল মালিশ করে, গোসল করায়। এতে নাকি শিশুর সার্বিক বিকাশ হয়। এভাবে আমরাও আমাদের শিশুদের শরীরে অয়েল মেসেজ করে থাকি। আগের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। মানুষের চালচলন, বিকাশ সবকিছুতেই এসেছে আধুনিকতা। একাল কিংবা সেকাল, শিশুদের যত্নের ক্ষেত্রে আমরা মায়েরা সবসময় চেষ্টা করি জেন্টল প্রকৃতির প্রসাধনী ব্যবহার করতে।
জনসন বেবি অয়েল শিশুর ত্বকের জন্য খুবই জেন্টল। তাই শিশুর শরীরের ম্যাসাজের জন্য জনসন বেবি অয়েল খুবই উপকারী। এটি সহজে শোষিত হয় এবং ম্যাসাজের মাধ্যমে শিশুর রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে – জনসন বেবি অয়েল শিশুর ত্বকে একটি সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা ত্বককে বাইরের দূষণ, শুষ্কতা এবং অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে।
অ্যলার্জি বা জ্বালাপোড়া কমায় – জনসন বেবি অয়েল হালকা ও কোমল উপাদানে তৈরি, যা শিশুর সংবেদনশীল ত্বকের জন্য সুরক্ষিত। এটি অ্যলার্জি বা ত্বকের জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে না এবং শিশুর ত্বকে সহজে মানিয়ে যায়।
শিশুর ত্বকে জনসন বেবি অয়েল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
- শিশুকে গোসল করানোর পর যখন ত্বক সামান্য ভেজা থাকে, তখন বেবি অয়েল ব্যবহার করবেন। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম ও কোমল রাখে।
- বেবি অয়েল শিশুর শরীরে হালকা ম্যাসাজের জন্য ব্যবহার করবেন। এক্ষেত্রে হাতে সামান্য অয়েল নিয়ে শিশুর শরীরে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। এটি শিশুর রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং আরামদায়ক ঘুমে সহায়তা করে।
- যদি শিশুর ত্বকের নির্দিষ্ট কোনো অংশে শুষ্কতা দেখা যায়, যেমন -শিশুর হাঁটু, কনুই বা গালের অংশে সে সেক্ষেত্রে শিশুর শুষ্ক অংশে জনসন বেবি অয়েল লাগিয়ে নিন । এটি শুষ্ক ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনবে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করবে।
- নবজাতকের নাভির যত্নে জনসন বেবি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অল্প পরিমাণ অয়েল নাভির চারপাশে লাগালে তা নরম থাকবে এবং শুষ্কতা দূর হবে।
জনসন বেবি অয়েল ব্যবহারের কিছু সতর্কতা
১. প্রতিদিন শিশুর ত্বকের যত্নে অল্প পরিমাণে বেবি অয়েল ব্যবহার করবেন। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ শিশুর ত্বক বেশি তেল শোষণ করতে পারে না এবং এতে শিশুর ত্বকে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
২. যদি শিশুর ত্বকে কোনো ধরণের র্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়, তবে বেবি অয়েল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. ব্যবহারের আগে শিশুর ত্বকে একটি প্যাচ টেস্ট করে দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে শিশুর ত্বকের যেকোন অংশে হালকা জনসন বেবি অয়েল আলতোভাবে লাগিয়ে , পরীক্ষা করুন, ত্বকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কি না। যদি কোন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তবে ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৪ .জনসন বেবি অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে – শিশুর চোখ ও মুখ এড়িয়ে চলুন।
আরো জানুন, জনসন বেবি ক্রিম এর ১০টি উপকারিতা।